Ticker

6/recent/ticker-posts

হুজুর সাহেবের মেলা উপলক্ষ্যে প্রকাশিত হল 'নূর-এ-পয়গাম' পত্রিকা


• হলদিবাড়ি: ১৭ ফেব্রুয়ারি: হলদিবাড়ি হুজুর সাহেবের মেলা উপলক্ষ্যে প্রস্তুতি প্রায় শেষ। এই উপলক্ষ্যে আজ একরামিয়া ইসালে সাওয়াব কমিটি প্রকাশ করল 'নূর-এ-পয়গাম' পত্রিকার চতুর্থ বর্ষ বার্ষিক সংখ্যা।


আগামীকাল শুরু হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী হুজুর সাহেবের মেলা। ৭৮তম একরামিয়া ইসালে সাওয়াবের প্রাকমুহূর্তে ৪ঠা ফাল্গুন প্রকাশিত হল 'নূর-এ-পয়গাম' পত্রিকার চতুর্থ বর্ষ বার্ষিক সংখ্যা। হলদিবাড়ির প্রাচীন-বর্তমান, এখানকার মানুষজনের সাথে হুজুর সাহেবের যে বহু পুরোনো ও পবিত্র সম্পর্ক তারই একটি কোলাজ এবারের পত্রিকার প্রচ্ছদে চিত্রিত করেছেন প্রচ্ছদশিল্পী সুদর্শন আজাদ। পত্রিকাটি সম্পাদনা করেন নূরনবি-উল ইসলাম, এরশাদ হোসেন, আজাদ হোসেন ও আলনূর নবি এবনে ইসলাম।


এদিকে পুরভোটের জন্য প্রশাসনিক স্তরে ব্যস্ততার মাঝেই হুজুর সাহেবের মেলার আয়োজন নিয়ে সতর্ক পুলিশ-প্রশাসন। সুষ্ঠভাবে এই মেলা সম্পন্ন করার জন্য ইতিমধ্যেই একরামিয়া ইসালে সওয়াব কমিটি মেলার একটি গাইড ম্যাপ প্রকাশ করেছে। পুলিশের তরফে নেওয়া হয়েছে একাধিক পরিকল্পনা । নিরাপত্তা দিতে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আনা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাদের থাকার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। 


মেলায় উপস্থিত পূণ্যার্থিদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করতে কোচবিহারের পুলিশ সুপার উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও দুইদিনব্যাপী এই মেলার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ডিএসপি পদমর্যাদার ৬ জন অফিসার, ইনস্পেকটর পদমর্যাদার ১৩ জন, ১৩০ জন এসআই বা এএসআই, ৩৫০ জন কনস্টেবল, ১০০ জন লেডি কনস্টেবল, ৭ জন লেডি অফিসার। সিভিক ভলান্টিয়ার থাকছেন ৫০০ জন। থাকবে র‍্যাফও। এছাড়াও একরামিয়া ইসালে সাওয়াব কমিটির ৬০০ জন নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক থাকবে। 


এই বিরাট ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন হয় ফাল্গুন মাসের ৫ ও ৬ তারিখ। বৃহস্পতিবার এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করলেন গদ্দিনসিন হুজুর খন্দকার মহম্মদ নুরুল হক। আগামী শুক্র ও শনিবার মেলা বসবে। ইতিমধ্যে হুজুর সাহেবের মাজার-ই-শরিফ রাঙিয়ে তোলা হয়েছে লাল সবুজ রঙে। মাজার সহ প্রবেশপথের নানা প্রান্তে রকমারি উজ্জ্বল আলোয় সাজিয়ে তোলা হয়েছে। মেলাকে কেন্দ্র করে দূর দূরান্ত থেকে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বহু মানুষের সমাগম ঘটে হলদিবাড়িতে। তাই উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে প্রশাসনের একাধিক দপ্তরের কর্মীরা এখন চূড়ান্ত ব্যস্ত। স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। জরুরি পরিষেবা দিতে মেলা প্রাঙ্গণে থাকবে দমকলের একটি ইঞ্জিন ও অ্যাম্বুলেন্স। গতবছরের তুলনায় এবছর সিসি ক্যামেরার সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া থাকছে ওয়াচ টাওয়ার। গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। মেলার দু'দিন ২৪ ঘণ্টা নলবাহিত পরিশ্রুত পানীয় জল সরবরাহ করবে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তর। এছাড়া ১৫০টি শৌচাগার সংস্কার করে ব্যবহারের উপযুক্ত করে তোলা হয়েছে। 


বাংলার মেলাগুলির মধ্যে অন্যতম বৃহৎ এই হুজুর সাহেবের মেলা ইতিমধ্যেই পূণ্যার্থিরা আসতে শুরু করেছেন। মাজার চত্বরে প্রায় ৩৩ বিঘা জমিতে এই মেলা হয়। দোকানিরা তাদের পসরা নিয়ে মেলা প্রাঙ্গণে হাজির হয়েছেন। এবছর প্রায় সাড়ে তিন হাজার দোকান বসবে। তবে পর্যটন ভিসা চালু না হওয়ায় গত বছরের মতো এবছরও বাংলাদেশ থেকে হুজুর সাহেবের বংশধররা ও বহু পুণ্যার্থী আসতে পারছেন না। 


চিত্র: হুজুর সাহেবের মেলায় পূণ্যার্থিরা আসতে শুরু করেছেন। (ইনসেটে: 'নূর-এ-পয়গাম' পত্রিকা। এবং মেলা উপলক্ষ্যে প্রশাসনিক মিটিং)


#Haldibari24ghanta #Haldibari #HujurSaheberMela #HaldibariMazarSharif

#NurEpaygam #HujurSaheb #NurErPaygam