পাখির আর্তনাদ
-- রবিউল গনি প্রধান
কাঠুরিয়া কাটি ফেলাছে
একটা করি গাছ ,
পাখির জোড়া কান্দিয়া কয়
করিলেন সর্বনাশ ।
পাখির জোড়া কান্দিয়া পাগল
গাছ কাটিবেন না ,
আছে আমার ছোট ছাওয়া
উড়িবার পারে না ।
ছোটো ছাওয়ার চোখ ফুটে নাই
কষ্টে খাওয়াই আধার ,
ওরে কেমন তোমরা নিষ্ঠুর মানসী
কেমন তোমার বিচার ।
নয়া হামার হইছে বিয়াও
এইলায় প্রথম ছাওয়া,
ছাওয়াক হামার মারি ফেলাবেন
আজি গাছক কাটিয়া ।
হাত দুইখান ধরি তোমার
ধরি তোমার পাও ,
আর কয়টা দিন সবুর করি
হামার ছাওয়ালাক বাঁচাও ।
পাও দুইটা আছে হামার
হাত যে হামার নাই ,
কতো কষ্টে উড়িয়া আজি
আহার করিয়া খাই ।
কষ্ট করি থাকি হামেরা
দেখিমো ছাওয়ার মুখ ,
গাছ কাটিয়া মারিবেন ছাওয়া
ফাটিয়া যাছে বুক ।
জানিনা কি দোষ করিছি
মারেছেন কাহ তীর ,
মানসী হয়া পাখি মারেন
কেমন তোমরা বীর ।
সুখের আশাত গাছের ডালত
বান্ধিছি সুখের ঘর ,
সুখের ঘরও ভাঙিয়া দেয় রে
কাল বৈশাখী ঝড় ।
দুঃখ ব্যাথা বুঝেন না কাহো
হামার দুখের মন ,
জমা করিবার নাই যে গোলা
নাই রে ব্যাংকত ধন ।
কাঠুরিয়া ভাই গাছ কাটেছেন
দেখেয়া দেহার বল ,
ছাওয়া মরিবে গাছ কাটিলে
পড়েছে চৌখের জল ।
পাখনা দুইটা দিয়া হামেরা
কষ্টে বেড়াই উড়ি ,
হাত থাকিলে ছাওয়াক অন্যঠে
গেনো হায় রে ধরি ।
নয়া বিয়া করিয়া হামার
প্রথম ছাওয়া হয় ,
চৌখের সামনোত ছাওয়া মারিবেন
ঐলায় মনের ভয় ।
গাছ কাটেন না কাঠুরিয়া ভাই
ধরি তোমার পাও ,
আর কয়টা দিন সবুর করো
বাড়ি ফিরিয়া যাও ।