Ticker

6/recent/ticker-posts

হলদিবাড়ির মেলা : মিতালি পত্রিকার পাতা থেকে : হলদিবাড়ির ইতিহাস history of fair in haldibari

১৯৫৩তে মহিলাদের দিয়ে গানের আসর বসানোর উদ্যোগকে সে যুগের সামাজিক পরিবেশে অশালীন বিবেচনা করে ধীরেন্দ্রনাথ (ভূপেন) কর্মকারের নেতৃত্বে একদল যুবক প্রতিবাদে সামিল হন। ১৯৫৪য় জুয়া খেলা বন্ধের দাবীতে আমরণ অনশনে বসেন কানাই মল্লিক।

ডেস্ক:

হলদিবাড়ি ২৪ ঘন্টা



হলদিবাড়ির মেলা


হলদিবাড়ি শহরের যে অঞ্চলটিতে এখন হাসপাতাল, পঞ্চায়েত ও খন্ড উন্নয়ন অফিস, পার্ক এবং মিউনিসিপ্যালটির লিজ দেওয়া জমিতে ওঠা জনবসতি, সে অঞ্চলটিকে বলা হয় মেলার মাঠ। '৫৪ সাল অবধি এই সমগ্র অঞ্চল ছিল উন্মুক্ত প্রান্তর, সেখানে বসত হলদিবাড়ির বিখ্যাত মেলা। 

১৮৮২তে প্রকাশিত ‘কোচবিহারের ইতিহাস' গ্রন্থে ভগবতীচরণ বন্দোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘সম্প্রতি দেওয়ানগঞ্জ, শীতলকুচি, দিনহাটা, হলদিবাড়ি নামক স্থানে আরও চারটি মেলা হয়'।

মধুপর্ণী, কোচবিহার সংখ্যায় চারুচন্দ্র রায় ‘কোচবিহারের মেলা' সম্বন্ধে জানিয়েছেন, '৩/১০/১৮৮৩ তারিখের প্রতিবেদনে (কোচবিহার রাজ্যের শাসন সংক্রান্ত বার্ষিক প্রতিবেদন--- সঃ) দেখা যায় যে রাজ্যে তিনটি মেলা – গদাধর, হলদিবাড়ি এবং দেওয়ানগঞ্জ ৷ নামগুলি ছাড়া আর কোনও বিবরণ নেই।

‘১৮৮৩-৮৪-র প্রতিবেদনে আমরা পাঁচটা মেলার নাম পাচ্ছি – গদাদর, হলদিবাড়ি, কালীরবাট, শীতলকুচি, শিশবতলা। নামগুলি ছাড়া বিশেষ কোনও বিবরণ নেই।' দেওয়ানগঞ্জের উল্লেখ নেই।

হলদিবাড়ির মেলা সম্পর্কে পরে তিনি লিখেছেন, 'রাজ্যের শাসন সংক্রান্ত প্রতিবেদনগুলিতে ১৮৮৩ সন থেকেই এর উল্লেখ আছে।' কিন্তু ভগবতীচরণের উল্লেখ থেকে বোঝা যায় ১৮৮২-র আগে থেকেই হলদিবাড়ির মেলা বসত। আমরা এই মেলার প্রারম্ভ হিসাবে ৮০/৮১ সালকে নিতে পারি। আরও পিছনে যাবার মত তথ্য হাতে নেই। সেকালে দেওয়াগঞ্জ ছিল গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যকেন্দ্র। তাই দেওয়ানগঞ্জের মেলাটিও প্রাচীনতম মেলাগুলির একটি একথা মনে করা যায়। রেল লাইন বসার পর স্থান হিসাবে হলদিবাড়ি গুরুত্ব পেতে শুরু করলে দেওয়ানগঞ্জের মেলাটিই সম্ভবতঃ হলদিবাড়িতেও বসতে শুরু করে এবং ধীরে ধীরে দেওয়ানগঞ্জের মেলা লুপ্ত হয়। চৈত্র মাসের শুক্লা অষ্টমী বা অশোকাষ্টমীতে অন্নপূর্ণা পুজা ছিল এই মেলার উপলক্ষ্য। তবে পরের দিকে মেলার মাঠের একটি স্থানে এই পূজা হয়ে যাবার কিছু দিন পরে মেলা শুরু হত। একেবারে প্রথম দিকে এই মেলা বসত শান্তি নগরের পথে যে ব্রীজটি আছে তার উত্তরে রেললাইন ও পাকা সড়কের মধ্যবর্তী যায়গায়। পরে মেলা উঠে আসে 'মেলার মাঠে। প্রথম দিকে মেলা বসত দু'দিনের জন্য। মেলার একেবারে আদিকথা আজ জানার বোধ হয় উপায় নেই। গোড়ার বছরগুলিতে দোকান পাট কোথা থেকে আসত সে তথ্য হাতে নেই, তবে কিষানগঞ্জের খাগড়া গ্রামে ১৮৮৩ থেকে যে মেলা বসতে শুরু করে সেই মেলাই ভেঙ্গে হলদিবাড়িতে আসত ।

মেলা পরিচালনা করত টাউন কমিটি। ডিম্বাকৃতি মাঠে মেলার প্রধান রাস্তাগুলি দাগ দিয়ে দেওয়া হত। অস্থায়ী আলোর ব্যবস্থা হয়। এসব তিরিশ-চল্লিশের দশকের কথা। যাত্রাগান ছিল মেলার প্রধান আকর্ষণ। শীতবস্ত্রের সম্ভার সহ বড় বড় কাপড়ের দোকান, পেতল কাঁসার সমারোহ ছিল সে যুগে দেখার মত। উট, দুম্বা, ঘোড়া, কুকুর এবং হাতিও বিক্রির জন্য আসত। কোন কোন বার রামায়ণ মহাভারতের কাহিনী অবলম্বনে পুতুলের প্রদর্শনী হত। গবাদি পশুর জলপানের জন্য বড় বড় ইঁদারার পাশে চৌবাচ্চা ছিল । মেলা চলাকালীন হলদিবাড়ি বাজারের স্থায়ী দোকান গুলি বন্ধ থাকত। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মেলাতেই পসরা সাজাতেন। 

১৮/১১/১৯৪৫ - এর কোচবিহার গেজেটে এই বিজ্ঞাপনটি দেওয়া হয়েছিল--

হলদিবাড়ি মেলা
বিজ্ঞাপন

রাজ কোচবিহার সাব ডিবিশন মেখলিগঞ্জের অধীন হলদিবাড়ি বন্দরে প্রতি বৎসর শীতকালে যে একটি বৃহৎ ও বিখ্যাত মেলা হইয়া থাকে তাহা বর্তমান বর্ষে আগামী ২৯শে, অগ্রহায়ণ, ইং ১৫ই ডিসেম্বর শনিবার আরম্ভ হইয়া একমাস পর্যন্ত থাকিবে। এই মেলাতে বর্ষে বর্ষে কাঁসা, পিতলের বাসন, নানা প্রকারের রেশমী ও পশমী কাপড়, প্রস্তুতি পোষাক, নানাবিধ মনোহারী দ্রব্য, পাথরের জিনিস, ভুটিয়। ঘোড়া, দুম্বা, উষ্ট্র, ভুটিয়া কুকুর, কম্বল, দোসৃতি, সতরঞ্চি, কস্তুরী, চামর প্রভৃতি বহু মূল্যের সামগ্রী ক্রয়-বিক্রয় হইয়া থাকে।...........

অন্নপূর্ণা পূজার সময়ের সঙ্গে মেলার সময়ের যথেষ্ট পার্থক্য দেখা যাচ্ছে। বিজ্ঞাপনটিতে যাতায়াত ও অন্যান্য বিষয়ে নানা তথ্যও ছিল, অর্থাৎ মেলা যাতে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে সে বিষয়ে চেষ্টা ছিল।

মেলায় প্রচুর লোক সমাগম হত। রৎপুর জেলা থেকে প্রচুর লোক আসতেন। দেশ ভাগের পর পাশপোর্ট ব্যবস্থা চালু হলে রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চল থেকে লোক আসা কমতে থাকে।

হলদিবাড়ির মেলার প্রসঙ্গ পাই কোচবিহার দর্পণের ১৭ই নভেম্বর, ১৯৩৮ সংখ্যায়--- ‘মেখলিগঞ্জ মহকুমান্তর্গত হলদিবাড়ি বাজারে প্রতি বৎসর শীতকালে সংখ্যায় একটি বৃহৎ ও বিখ্যাত মেলা হইয়া থাকে। বর্তমান বৎসরে উক্ত মেলা আগামী ২১শে অগ্রহায়ণ ইং ৭ই ডিসেম্বর আরম্ভ হইয়া এক মাসকাল থাকিবে। এই মেলায় বহুমূল্য নানাবিধ দ্রব্যসামগ্রী ক্রয়বিক্রয় হইয়া থাকে। বর্তমানে প্রচুর গো-মহিষাদিরও বিশেষ আমদানী হয়। স্থানীয় ও দূর বিদেশ হইতে আগত দোকানদারেরা মূল্যবান ও সুন্দর সুন্দর দ্রব্যাদির দোকান সমূহ সজ্জিত করিয়া মেলার জাঁকজমক ও শ্রী বৃদ্ধি করে। মেলা স্থান হলদিবাড়ি রেলওয়ে স্টেশনের অতি সন্নিকটে হওয়ায় দূরযাত্রীদিগের পক্ষে বিশেষ সুবিধাজনক হইয়াছে। চতুর্দিক হইতে মেলায় আসিবার প্রশস্ত ও সুগম রাজপথ থাকায় অন্যান্য আগন্তুকগণের পক্ষেও কোন অসুবিধা নাই। দোকানদারগণের বাসপোযোগী গৃহাদি নির্মাণ করিয়া থাকিবার বন্দোবস্ত থাকে। মেলার উন্নতি ও আগন্তুকগণের উৎসাহ বর্দ্ধনের জন্য প্রতি বৎসর যাত্রাভিনয় হয়--- এ বৎসরও হইবে। বিখ্যাত সার্কাস, বায়োস্কোপ, টকী প্রভৃতি বিদেশ হইতে আসিয়া মেলাটিকে পূর্ণাঙ্গ করিয়া তোলে। এবারেও মেলা যাহাতে সর্ব প্রকারে ভাল হইতে পারে সে বিষয়ে যথাসাধ্য চেষ্টা হইতেছে।'

৪০-এর দশকে মেলায় কাজি সাহেবের কাপড়ের দোকান ছিল বিখ্যাত। লম্বায় সে দোকান হত ৩২ হাত। মেলার স্বাস্থ্যবিধি তদারক করতেন টাউন কমিটি। সে সময় শহরে ল্যাম্পপোস্ট ছিল ৫৫টি। মেলার সময় মেলার জন্য অতিরিক্ত ২০টি ল্যাম্প পোস্টের ব্যবস্থা করা হত । দেখাশোনা করেন টাউন কমিটির ল্যাম্প লাইটাররা।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের দামামা বেজে উঠলে তার প্রভাব সর্বত্র পড়েছিল। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যায়। মেলা তাই তখন ম্লান। থেকে পাঠানো এই বিবরণটি প্রকাশিত হয় কোচবিহার দর্পণের ১লা মাঘ ১৩৪৮ । হলদিবাড়ি (ইংরেজি ১৯৪১) সংখ্যায়। মেলার কথা ছাড়াও এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির একটি চিত্র এতে আছে--- “এবার মেলায় অন্যান্য বৎসরের ন্যায় পশ্চিমা গরু, মহিষ, উট এবং দুম্বা আমদানী হইয়াছিল। কিন্তু বিক্রয় মোটেই নাই। দেশের খারাপ অবস্থাই ইহার প্রধান কারণ। দোকানদারদের বিক্রয় খুব কম। হলদিবাড়ি মেলার পূর্বের অবস্থা আর নাই। মেলার উৎকর্ষ সাধনের জন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা হওয়া বাঞ্ছনীয় ।

‘খাদ্যদ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ও যুদ্ধের ভয়ে কলিকাতা হইতে বহুলোক জলপাইগুড়ি আসিয়া অবস্থান করিতেছেন। পূর্ব হইতেই জলপাইগুড়ি একটি জনবহুল টাউন। প্রতি হাটবার তথা হইতে ব্যবসায়ী ও পাইকারগণ হলদিবাড়ি আসিয়া দেশী মৎস, ডিম, আলু, দুধ ও চাউল অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে খরিদ করিয়া লইয়া যাইত। এবার যুদ্ধের হিড়িকে তাহারা অধিক পরিমাণে চাউল, চিড়া, মাছ ও আলু ক্রয় করিয়া গরুর গাড়ির সাহায্যে জলপাইগুড়ি যাইয়া বিক্রয় করিতেছে। প্রতি সপ্তাহে অনুমান ১০০ মণ চাউল, ৩০ মণ আলু এই ভাবে জলপাইগুড়ি চালান হইয়া যাইতেছে। ফলে এবার এখনই মোটা চাউল ৮ সের ও সরু চাউল ৬ সের টাকায় বিক্রয় হইতেছে। অন্যান্য বৎসর চাউল এই সময় যথাক্রমে ১৬ সের ও ১২ সের টাকায় বিক্রয় হইত। আলু প্রতি সের দুই আনা বিক্রয় হইতেছে। আলু তিন পয়সা সের বিক্রয় হইত। এই রূপ অস্বাভাবিক ভাবে এই স্থানের চাউল ইত্যাদি রপ্তানী হইয়া গেলে স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশেষ কষ্টের সম্মুখীন হইতে হইবে। আশা করি রাজ সরকার এই বিষয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা অবলম্বন করিবেন।'

মেলা শেষ বারের মত বসে ১৯৫৪ সালে। এর পর 'মেলার মাঠে' হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে যায়। অবশ্য নথি পত্রে ১৯৫৩-কে মেলার শেষ বছর হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

মেলার শেষের বছর গুলিতে দু'একটি ঘটনা ঘটে। ১৯৫৩তে মহিলাদের দিয়ে গানের আসর বসানোর উদ্যোগকে সে যুগের সামাজিক পরিবেশে অশালীন বিবেচনা করে ধীরেন্দ্রনাথ (ভূপেন) কর্মকারের নেতৃত্বে একদল যুবক প্রতিবাদে সামিল হন। ১৯৫৪য় জুয়া খেলা বন্ধের দাবীতে আমরণ অনশনে বসেন কানাই মল্লিক।

হুজুরের মেলা

দেশ বিভাগের আগে ১৯৪৫ সাল থেকে হুজুর সাহেবের মাজারে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে একটি মেলা শুরু হয়ে যায়। সাধক শাহ সুফি সৈয়দ একরামুল হক (মুর্শিদাবাদী)-এর উরস উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে এই মেলা বসে ৫/৬ ফাল্গুন, বসন্তকালে। বিভিন্ন কারণে উরস উদযাপনের দিন কিছুটা এগিয়ে বা পিছিয়ে নেওয়া হয়। দু'দিনের এই উরস উদযাপনকে কেন্দ্র করে বিরাট ধর্মসভা ও মেলার আয়োজন হয়। সব ধর্মের বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম হয় এই মেলায়, নানা দ্রব্যের কেনা বেচা চলে । বাইরে থেকে এত মানুষ আসেন যে যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসনকে বিশেষ ব্যস্ত থাকতে হয়। নিজধর্মের প্রতি অবিচল নিষ্ঠাবান এই তপস্বী সব ধর্মের মানুষকে বুকে টেনে নিয়েছিলেন। এই মেলায় যেন তারই প্রতিফলন। মেলার দিন সন্ধ্যায় মাজার ঘিরে পুন্যার্থীদের জ্বালানো হাজার হাজার মোমের আলোয় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে সম্প্রীতির অনুভূতি। এই মেলাটি পশ্চিমবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ বড় মেলাগুলির একটি।

রথযাত্রার দিন মেলা বসে শহরের বাইরে দক্ষিণে, বালাডাঙায়। ফাল্গুনের শেষে বারুনীস্নান উপলক্ষে মেলা বসে শহর থেকে প্রায় ৯০কিমি পশ্চিমে ঢোল গ্রামে। জায়গাটি হলদিবাড়ি থানার বাইরে হলেও হলদিবাড়ি এলাকার বহু মানুষ এই জেলায় যান। হেমকুমারীতে নিলার ডাঙা (লীলার ডাঙা)য় মেলা বসে রাস পূর্ণিমায়। রাধাকৃষ্ণর লীলা বিষয়ক মূর্তির প্রদর্শনী, পালাগান ইত্যাদি হয়। হুজুরের মেলার অল্পদিন কয়েক পরে গৌড়চন্ডীতে একটি মেলা বসে। মেলাটি শালবাগানের মেলা’ নামে পরিচিত। এক সময় জায়গাটিতে কিছু শালগাছ ছিল।

উত্তর বড় হলদিবাড়ির আমবাগানে যেখানে আগে শ্মশান মেলা নামে একটি মেলা বসত, ১৯৮৬ সাল থেকে বসছে জাতীয় সংহতি মেলা। এই মেলা ৭- ৮ দিন ধরে চলে। প্রথম বছর মেলা বসেছিল ২১শে জানুয়ারি। মেলার উদ্বোধন করেছিলেন রাজ্যের উচ্চশিক্ষা ও বাণিজ্যমন্ত্রী নির্মল বসু। মেলা শুরুর দিনটিকে পরে ২৩শে জানুয়ারি, নেতাজীর জন্মদিনে নিয়ে আসা হয়। ১৯৯৬ সালে মেলার পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে মণীন্দ্রনাথ রায় মহাশয়ের সম্পাদনায় একটি স্মরণিকা প্রকাশিত হয়। মেলায় সরকারী উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রতিযোগিতা ইত্যাদি অনুষ্ঠিত হয়। একটি কৃষি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়ে থাকে।

শারদোৎসবের শেষে একাদশীর পর শুরু হয় ভান্ডারী পূজা, ৩/৪ দিনের জন্য। এখানে মা দুর্গা উপবিষ্ঠা ব্যাঘ্রের পিঠে, সঙ্গে লক্ষ্মী, সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ সবাই থাকে। এই পূজার জন্য নির্দ্দিষ্ট রীতি-পদ্ধতি আছে। উত্তর বড় হলদিবাড়ির ডাঙাপাড়ায়, হেমকুমারীর দিয়াবাড়িতে, দক্ষিণ বড় হলদিবাড়ির বালাডাঙা প্রাইমারি স্কুলে এই পূজা অনেক দিন ধরে হয়ে আসছে। এই পূজা উপলক্ষ্যে পূজা স্থানগুলিতে ছোট ছোট মেলা বসে।


সৌজন্য: "মিতালি" / বিশেষ হলদিবাড়ি সংখ্যা / ২০০১ / পি.ভি.এন.এন. লাইব্রেরী, হলদিবাড়ি