Ticker

6/recent/ticker-posts

চাহিবে না ফিরে || কামিনী রায় || প্রশ্ন উত্তর || সাহিত্য সম্ভার || মাধ্যমিক বাংলা || WBBSE

chahibe na fire wbbse madhyamik bangla kamini roy

চাহিবে না ফিরে || কামিনী রায় || প্রশ্ন উত্তর || সাহিত্য সম্ভার || মাধ্যমিক বাংলা || WBBSE 


প্রশ্ন: ১) 
>> "পথে পড়ে অসহায়।"--- কোন কবিতার অংশ ও কবিতাটি কার লেখা?  পথে যারা অসহায় হয়ে পড়ে থাকে আমাদের সমাজ তাদের সাথে কিরূপ ব্যবহার করে তা নিজের ভাষায় লেখ। 

>>উত্তর: 
>> কবি কামিনী রায়ের লেখা "চাহিবে না ফিরে" কবিতা থেকে উদ্ধৃত অংশটি নেওয়া হয়েছে। আমাদের সমাজের অসহায় অবহেলিত মানুষের সাথে আমাদের অমানবিক ব্যবহারকে প্রশ্ন করে কবি তার নিজের উদ্বেগকে এই কবিতায় ব্যক্ত করেছেন।

আমাদের সমাজের অসহায় যারা অবহেলিত শ্রেণী তাদের সাথে সমাজের বাকি উচ্চ শ্রেণীর ব্যবহার আজও একই রয়ে গিয়েছে যা কবিকে ব্যথিত করেছে। অর্থনৈতিক ও জাতিগত দিক থেকে যারা সমাজের নিচু স্তরে বাস করে তাদের প্রতি আমাদের ঘৃণার প্রকাশকে কবি আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে প্রশ্ন করেছেন-- "চাহিবে না ফিরে?" অর্থাৎ উচ্চ শ্রেণীর মানুষদের কবি জিজ্ঞেস করছেন যে তারা এইসব দরিদ্র অবহেলিত অসহায় মানুষদের দিকে একটু হাত বাড়িয়ে দেবে না!

আমরা এখনো দেখতে পাই দলিত জাতির মানুষদের বিনা কারণে হত্যা করা হচ্ছে এই আধুনিক যুগে এসেও। দরিদ্র মানুষদের যেনতেন প্রকারেরও পায়ের নিচে পিষে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছেই। সাহায্য করার বদলে ঘৃণা করে তাদের থেকে দূরে সরে দাঁড়াচ্ছে উচ্চ শ্রেণীর মানুষেরা। কেউ উপহাস করে মজা লুটছে। কেউ তাদের গঞ্জনা দিয়ে চলেছে। ব্যাথাতুর মানুষকে আবারও যন্ত্রণায় ফেলে দিচ্ছে উঁচু শ্রেণীর মানুষেরা। তাদের জন্য কারো প্রাণে যেন দয়া, কারো চোখে নেই অশ্রু। তাদের পথ থেকে তুলে ধরার জন্য কেউ দয়া স্নেহের হাত বাড়িয়ে দেয় না। কবি এই অবস্থার পরিবর্তন চেয়েছেন। আমাদের এই আচরণকে প্রশ্ন করেছেন এই কবিতার মধ্য দিয়ে।  

-----------------------------------------------------------------------

প্রশ্ন: ২) 
>> "সত্য, দোষে আপনার চরণ স্খলিত তার...।"-- যার চরণ স্খলন হয়েছে তাদের সাথে কেমন ব্যবহার করা হয়?

>>উত্তর: 
>> কবি কামিনী রায় তার "চাহিবে না ফিরে" কবিতায় তাদের কথা তুলে ধরেছেন যারা সমাজের উন্নত শ্রেণীর সাথে পায়ে পা মিলিয়ে অগ্রসর হতে পারেনি। যারা অবহেলিত দরিদ্র আর অসহায়। কবির অনুমান তাদের উন্নতির অন্তরায় হয়তো তারা নিজেরাই। হয়তো তারা আলো, জ্ঞান আর উন্নতির পথে চলতে না পেরে নিজের দোষেই পড়ে গিয়েছে। 

তাদের এই অসহায় অবস্থা থেকে তুলে আনার বদলে আমরা তাদের প্রতি বিতৃষ্ণায় তাদের থেকে দূরে সরে যাই, তাদের এড়িয়ে যাই। তাদের ঘৃণা করি। উপহাস করে গঞ্জনা দিয়ে তাদের আরো দূর্বল করে তুলি। তাদের কাতর আর্তনাদ, তাদের ব্যথা আমরা আর শুনতে পাই না। আমরা যেন বধির হয়ে গেছি। আমরা আমাদের আলোর ভাগটুকুও তাদের দিই না। তাদের জন্য যেন আমাদের এতোটুকুও সময় নেই। অন্ধকার রাতের পিচ্ছিল পথে তাদের ফেলে দিয়ে আমরা আমাদের মত চলতে থাকি। আমাদের সমাজের উচ্চশ্রেণীর মানুষেরা এভাবেই সেইসব অবহেলিত মানুষের স্নেহের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার বদলে তাদের চিরকালের মত অন্ধকার এক ভবিষ্যতের পথে ঠেলে দিই। 



-----------------------------------------------------------------------

প্রশ্ন: ৩) 
>> "বর্তিকা লইয়া হাতে"---  "বর্তিকা" শব্দের অর্থ কী?

>>উত্তর:
>> আলোচ্য "বর্তিকা" শব্দটি কবি কামিনী রায়ের "চাহিবে না ফিরে" কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে, যার অর্থ বাতি, প্রদীপ। 


-----------------------------------------------------------------------
প্রশ্ন: ৪) 
>> "আঁধার রজনী তার রবে নিরন্তর।"--- কী কারনে এমন অবস্থা হবে?

>> উত্তর:
>> আমাদের সমাজের উচ্চশ্রেণীর মানুষেরা অবহেলিত দরিদ্র অসহায় মানুষের দিকে স্নেহের হাত বাড়িয়ে দিই না। আমাদেরই সাথে উন্নতির পথে তাদের চলতে সাহায্য না করে উলটে আমরা তাদের এড়িয়ে চলি। গঞ্জনা দিই। এভাবে আমরা তাদের চিরকালের মত অন্ধকার এক ভবিষ্যতের পথে ঠেলে দিই।